ঢেঁকি ছাঁটা চাল বা ব্রাউ রাইস তৈরি হয় ধান সিদ্ধ করে৷ এই চালটি কম পালিস হয় সেজন্য চালের উপরিভাগে রাইস ব্রান বা ধানের তুষের কিছুটা অংশ থেকেই যায়৷ দেখতে হয় লালচে ধরনের এবং এতে পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে সংরক্ষিত থাকে৷তাহলে জেনে নিন ঢেঁকি ছাঁটা চাল কেন খাবেন সেই সম্পর্কে-
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ঢেঁকি ছাঁটা চাল স্টার্চ ও ফাইবার রয়েছে। একদিকে যেমন ব্রাউন রাইস হজম হতে সময় লাগে বেশি, কিন্তু ধীরে ধীরে সারাদিনে অনেক এনার্জি সরবরাহ করে। ফলে গোটা দিনই কর্মক্ষম থাকার জন্য ঢেঁকি ছাঁটা চাল খাওয়া উচিত।
ঢেঁকি ছাঁটা চাল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই। এছাড়া রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম।
ঢেঁকি ছাঁটা চাল এক ধরনের ইনসলিউবল ফাইবার রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। গবেষণায় জানা গেছে, ইনসলিউবল ফাইবার ক্যান্সারের কোষগুলো থেকে শরীরকে রক্ষা করতে ঢেঁকি ছাঁটা চাল সাহায্য করে
ঢেঁকি ছাঁটা চাল যথেষ্ট পরিমাণে নিউরোট্রান্সমিটার নিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা অ্যালঝাইমার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ঢেঁকি ছাঁটা চাল নার্ভাস সিস্টেম ভালো রাখতে ও সেক্স হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া রিলাক্স থাকার জন্যেও সাহায্য করে।
ঢেঁকি ছাঁটা চাল ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য কর্যকরীঃ
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার বেশি থাকলে অন্ত্রে খাবার হজমের প্রক্রিয়া আস্তে আস্তে হয়, ফলে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় সুগারে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়া কমে যায়, ফলে রক্তের সুগারের মাত্রা কমে, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে। এ চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের খাওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। রক্তনালীতে ব্লক হওয়ার ঝুঁকি কমায়, হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়, রক্তের চর্বির মাত্রা ও সুগারের মাত্রা কমায়। প্রতিদিন ১ কাপ লাল চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৬০ ভাগ পর্যন্ত কমে। লাল চালের ভাতে ক্ষুধা কম লাগে। লাল চালের ভাত খেলে আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ফাইবারের ১০ ভাগ পূরণ হয়। লাল চাল ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও স্থূলতা প্রতিরোধ করে।