খেজুরের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে। স্বাদের দিক থেকে আমরা বিভিন্ন ধরণের খেজুর দেখতে পাই, যেমন- আজওয়া, মারিয়াম, আনবারা, সাফাওয়ি, মুসকানি, খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদর প্রভৃতি খেজুর। এদের মধ্যে আমাদের নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো আজওয়া এবং মারিয়াম খেজুর। খেজুরটি খুবই সুস্বাদু। আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আজওয়া খেজুর পছন্দ করতেন।
আজওয়া খেজুর খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এটি নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। এটি হলো পুষ্টির প্রাকৃতিক উৎস। খেজুরের মধ্যে ক্যালরি, প্রোটিন, শর্করা, সুগার, মিনার্যালস, ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, দস্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম খেজুরের মধ্যে নিম্নোক্ত পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় -
ক্যালোরি ২৮২ মিলিগ্রাম
ফ্যাট ০.৪ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম ৬৫৬ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেটেড ৭৫ মিলিগ্রাম
ফাইবার ৭ গ্রাম
সুগার ৬৩ মিলিগ্রাম
প্রোটিন ২ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৩%
আয়রন ৫%
ভিটামিন বি-৬ ১০%
ম্যাগনেসিয়াম ১৪%
কপার ১৮%
আজওয়া খেজুরের উপকারিতা এবং গুণাগুণের ব্যাপারে মহানবী (সাঃ) এর বিভিন্ন হাদিস রয়েছে। যেমন -
হযরত সাদ (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ভোরবেলায় সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ বা যাদু তার ক্ষতি করতে পারবেনা। ( সহিহ বুখারী -৫৪৪৫ )
হযরত আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় মদিনার আজওয়া খেজুর রোগ নিরাময়ে উপকারী এবং প্রাতঃকালীন প্রতিষেধক। (সহিহ মুসলিম - ৩৮১৫)
আজওয়া খেজুর স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
এটি পাকস্থলির ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
এটি অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে।
আজওয়া খেজুর হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
ত্বক এবং চোখের সুস্থতায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
অপুষ্টিকোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হার্টের সুস্থতায় উপকারী।
কিডনি এবং লিভারের সুস্থতায় উপকারী।
জনিত সমস্যা নিরাময় করে।
স্মৃতিভ্রম এবং অবসাদ দূরীকরণে ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হার্টের সুস্থতায় উপকারী।
খেজুর হলো প্রাকৃতিক স্ন্যাকস। হালকা নাশতা হিসেবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী।